সম্পাদকীয়
নানা প্রতিকূলতা কাটিয়ে শেষ পর্যন্ত পাঠকের হাতে ‘পড়ুয়া’র তৃতীয় ও চতুর্থ সংখ্যা তুলে দেওয়া গেল, এ জন্য আমরা আনন্দিত। বিশ্বাস করি এই আনন্দ পাঠককেও স্পর্শ করবে। কেননা বই নিয়ে, শুধুমাত্র বই নিয়ে পড়ুয়ার এই আয়োজন পাঠককে লক্ষ্য করেই। ত্রৈমাসিক পত্রিকা হিসেবে আত্ম প্রকাশের পর জুলাই ১২, ২০২১ এ পড়ুয়ার দ্বিতীয় সংখ্যা প্রকাশের পর, আমাদের পক্ষে পত্রিকাটির ৩য় সংখ্যা প্রকাশ করা সম্ভব হয়নি। প্রধান সম্পাদক রিটন খানের সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হওয়া, সপরিবারে কোভিডে ভোগাসহ আমাদের বেশকিছু প্রতিকূলতার সম্মুখীন হতে হয়। ফলে প্রতিশ্রুতি মতো ২০২১’এর অক্টোবরে তৃতীয় সংখ্যা নিয়ে হাজির হওয়া সম্ভব হয়নি। প্রতিকূলতা সত্ত্বেও পাঠক প্রিয় এই পত্রিকাটি প্রকাশের সদিচ্ছা আমরা কখনও ভাসান দেইনি।
জানামতে, শুধুমাত্র বইকেন্দ্রিক লেখাজোকা নিয়ে বাংলা কোনো ওয়েবজিন নেই। বিশ্বময় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বাংলাভাষী পাঠকের বইভাবনা দিয়ে সাজানো এই পত্রিকাটির তাই সচল থাকা খুব প্রয়োজন বলে আমরা মনে করি। সেই প্রত্যাশা নিয়েই ‘পড়ুয়া’র যাত্রা শুরু হয়েছিল। আগামিতে এই চেষ্টা সচল রাখতে আমাদের সর্বাত্মক চেষ্টা থাকবে। বই নিয়ে নানামুখী লেখাজোকায় আরো বৈচিত্র আনতে পাঠকের ভাবনা জানতে আমরা আগ্রহী। আশা করবো পাঠকেরা নিঃসঙ্কোচে তাঁদের ভাবনা জানান দিয়ে পড়ুয়াকে আরো সমৃদ্ধ, সৃজনশীল হতে সাহায্য করবেন। পাঠকই পড়ুয়ার লেখক। বই নিয়ে প্রত্যেক পাঠকের ভাবনা আমাদের কাছে মূল্যবান। পাঠকের কাছে তাই অনুরোধ বই নিয়ে আপনার যে কোনো ভাবনা আমাদের জানান। আপনার ভাবনাটিকে আমরা বিশ্বময় ছড়িয়ে থাকা বাংলাভাষী অন্যান্য পাঠকের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেবো। যশস্বী লেখকের লেখাও পড়ুয়ায় প্রকাশিত হয়েছে, হবে। পাঠক হিসেবে বই নিয়ে তাঁদের স্মৃতিকথা, বই লেখার অম্ল-মধুর নানা অভিজ্ঞতা জানতে আমরা আগ্রহী।
মোটকথা, ‘পড়ুয়া’ বিশ্বজোড়া বাংলাভাষী পাঠকের যেমন ইচ্ছে লেখাজোকার স্বাধীন খাতা। আশা করবো পড়ুয়াদের সক্রিয় অংশগ্রহণে সে খাতার প্রতিটি পাতা ভরে উঠবে। বই আমাদের নির্ভরযোগ্য আশ্রয় হয়ে উঠুক। পড়ুয়া পরিচয়ে আমরা আরো বেশি বেশি সক্রিয় হয়ে উঠি। ‘পড়ুয়া’র লেখক, পাঠক, শুভানুধ্যায়ী সকলের প্রতি শুভেচ্ছা ভালোবাসা।