স্বদেশের লাইব্রেরি:
তখন আমি তিন চার বছর। বই চিনেছি। কলকাতার বেলগাছিয়ার ফ্ল্যাটে আমাদের বাস। অনেক মানুষ বাড়িতে। আত্মীয়-স্বজন, কাছের মানুষ, দূরের মানুষ। আমাকে বাবা এক সন্ধ্যায় অফিস থেকে ফেরার পথে এনে দিলেন, হাসি খুশি, সুখলতা রাওয়ের সেই শিশু পাঠ্য অপরূপ বইটি। অক্ষর চেনার বই। সেই আমার প্রথম নিজের বই। একান্ত নিজের। আহা, সেই বইটির কথা যত মনে পড়ে, বাবার মুখটি মনে পড়ে। তিনি বললেন এই তোমার বই, যত্ন করে রাখবে। ছিঁড়বে না। সেই বই আমাদের ফ্ল্যাটের ভিতর কোথায় লুকোব। আলমারির তলায়, না আলনার তলায়। আমার তো নিজস্ব কোনো জায়গা নেই যে সেখানে আমার নিজের বই নিজের মতো করে রাখব। হা হা হা। এত বয়সেও তা আমার তা বুঝি হয়নি। আমাদের সেই পঞ্চাশ-পঞ্চান্ন বছরের পুরোন ফ্ল্যাটেই আমি থাকি। আমার নিজের ঘরখানিতে বই আর বই। সেলফ ভর্তি হয়ে মাটিতে, খাটের নিচে, কোথায় না। যে বই যখন দরকার হয় খুঁজে পাই না। তবে আমার সহধর্মিণী শ্রীমতী মিতালি তা অনেক সময় খুঁজে বেরও করে দেন। অনেক সময়ই হারানো বই আবার সংগ্রহ করতে হয়। চেয়ে নিয়ে কাজ মিটিয়ে ফেরত দিতে হয়। এসব এখনকার কথা, তখনকার কথা বলি। হাসিখুশি আমার প্রথম বই। তখন আমি পড়তে শিখে গিয়েছি মনে হয়। কবে আমার অক্ষরজ্ঞান হয় তা আর মনে নেই। কিন্তু একটি বই নিয়ে আলমারির নিচে নিজস্ব জায়গায় আমার নিজস্ব লাইব্রেরি আরম্ভ হয়েছিল। তা ক্রমশ বেড়েছে।
আমি ক্লাস সিক্স এবং সেভেন বসিরহাটের গায়ে দণ্ডীরহাট গ্রামের স্কুলে পড়েছিলাম। ঐ দুবছরেই গ্রামের যুবক তরুণদা আমাকে থিয়েটার আর বই পড়ায় দীক্ষিত করেন। দণ্ডীরহাট গ্রামের বসু জমিদারদের রেখে যাওয়া বাড়িতে ছিল বড় এক পাঠাগার। সেই পাঠাগার ছিল তরুণদার দায়িত্বে। এ ব্যতীত তিনি ছিলেন পোস্ট অফিসের ডাক পিয়ন। চিঠি বিলি করতেন। সাব পোস্ট অফিসের অনেক কাজই করতেন। চিঠিতে সিল মারা, ডাকের থলেতে ভর্তি করা। হরকরার চিঠি রিসিভ করা...সব। বেলা আড়াইটে অবধি হয়তো তাঁর কাজ, তারপর লাইব্রেরি। আমাকে হেমেন্দ্রকুমার রায় থেকে দীনেন্দ্রকুমার রায়ের রবার্ট ব্লেক, অনুবাদে অলিভার টুইস্ট, এ টেল অফ টু সিটিজ, হ্যাঞ্চব্যাক অফ নতরদম...। কত বই দিয়েছেন। সেই আমার প্রথম লাইব্রেরি দেখা। বই নেড়ে চেড়ে দেখা। মনে হতো সব বইয়ের ভিতর একটা হলদে কিংবা সবুজ পাখির পালক রাখা আছে। মনে হতো রাত্তিরে যখন সকলে ঘুমোয়, বইয়ের ভিতর থেকে ডাঃ জেকিল, মিঃ হাইড, হোমস, ওয়াটসন বেরিয়ে আসে। হলদে সবুজ ওরাং ওটাং , পাগলা দাশু সব ঘুরে বেড়ায় নিজের মতো করে। দণ্ডীরহাট থেকে কলকাতায় চলে আসার পর বই পড়া হতো বন্ধুদের ভিতর বিনিময় করে। বন্ধুরা প্রত্যেকেই নিজের নিজের বাড়িতে লাইব্রেরি গড়ে তুলত দশ-বিশটা বই নিয়ে।
বাল্যকাল কেন, এখনো সেই বেলগাছিয়া-পাইকপাড়ায় আছি। বেলগাছিয়া-পাইকপাড়া আমার নিজের পল্লী। আমরা ওপার থেকে আসা ছিন্নমূল মানুষ। কলকাতা আমাদের আশ্রয় দিয়েছিল। এই অঞ্চল। পাইকপাড়া বেলগাছিয়া অঞ্চল হল কলকাতার সেরা জায়গার একটি। এমন অবারিত সবুজ মাঠ, গাছগাছালি, মস্ত জলাশয় এমন নির্জন পথ আর ভালমানুষের বাস আর কোথায় আছে ? এমন বড় বড় মানুষ কলকাতার কোথায় বাস করতেন ? তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়, শৈলজানন্দ মুখোপাধ্যায়, সজনীকান্ত দাস, নরেন্দ্রনাথ মিত্র, গৌরীশঙ্কর ভট্টাচার্য..আমি কতজনের কথা বলব। কাজি নজরুল ইসলামের পায়ের ধূলিতে ধন্য হয়েছে এই এলাকা। আমি তাঁকে দেখিনি, কিন্তু তাঁর পাশের মস্ত ফ্ল্যাট বাড়িটিতে পরম শ্রদ্ধেয় শিল্পী অন্নদা মুন্সি মশায়ের বাড়ির দরজায় এক সকালে কড়া নেড়ে দাঁড়িয়ে থাকলাম। বালকদের দেখে তিনি অবাক। হাসি মুখে ডেকে নিলেন ভিতরে। সেই প্রথম চিত্রকরের ঘরে প্রবেশ। রঙের ভিতরে প্রবেশ। তাঁর সেই ঘরখানিতে ছিল যেন রঙিন বাতাস। আমাদের বন্ধুর দাদা শ্যামল বরণ বালক লাল্টু এখানকার ঝিলের জলে ডুবে গিয়েছিল ক’বছর আগে, তার নামে একটি পাঠগার করব, শুধু ছোটদের বই থাকবে সেখানে, তিনি যদি একটি ছবি এঁকে দেন বা পোস্টার। তিনি তো এঁকে দিলেন, পয়লা বৈশাখের সকালে এসে উদ্বোধন করলেন সেই পাঠাগার। আমাদের সঙ্গে মিশে গেলেন বালকের মতো। সেই আমার প্রথম আড্ডা বড় মানুষের সঙ্গে। হ্যাঁ, সেই লাইব্রেরি হয়েছিল লাল্টু-বুল্টুদের বাড়িতেই। নিচের তলায়। বই সব চেয়ে চিনতে আনা হলো। যার কাছে যা ছিল, সব দেওয়া হলো লাইব্রেরিতে। ১৯৬৩-৬৪ সাল হবে। বুল্টুর বাবা সোভিয়েত দেশ পত্রিকায় চিঠি লিখে আনানোর ব্যবস্থা করলেন। প্রতি মাসে সোভিয়েত দেশ আসতে লাগল বিনা মূল্যে। এই লাইব্রেরি ছিল আমাদের শৈশবের স্বপ্ন।
গ্রামে গঞ্জে ঘুরেছি জীবনের বড় অংশ। মেদিনীপুর শহরে ১৯৭৩ সালের নভেম্বরে শিক্ষানবীশ কানুনগো হয়ে যাই। বিদ্যাসাগর লাইব্রেরি আর ডিস্ট্রিক্ট লাইব্রেরিতে ছিল সন্ধ্যা-যাপন। লাইব্রেরিতে বসেই বই পড়তাম। ফ্রি রিডিঙের ব্যবস্থা ছিল। মনে আছে পার লাগেরকভিস্টের উপন্যাস বারাব্বাস পড়েছিলাম কয়েকদিন ধরে। উপন্যাসটির জন্য তিনি নোবেল প্রাইজ পেয়েছিলেন। আমার প্রথম বই ‘মাঠ ভাঙে কালপুরুষ’ ১৯৭৮ সালে প্রকাশিত হয়েছিল। সেই বইয়ের এক কপি আমি ঝাড়গ্রাম মহকুমা গ্রন্থাগারে দিয়ে এসেছিলাম, যদি পাঠকরা পড়েন।
আমাদের গ্রন্থাগার এখন আর ভালো নেই। ১৯৮৬ সালে বাঁকুড়ার শালতোড়ায় বদলি হয়ে ব্লক লাইব্রেরিতে আগে গেছি বই আনতে। ঢুকে দেখি মেঝেয় ডাঁই হয়ে পড়ে আছে মূল্যবান সব বই। হান্টারের অ্যানালস অফ রুরাল বেঙ্গল বইয়ের বঙ্গানুবাদ করেছিলেন অসীম চট্টোপাধ্যায়। সেই বই আরো সব বইয়ের সঙ্গে মেঝেয় পড়ে আছে। রাখার জায়গা নেই তা নয়, কিন্তু না সাজালে যদি হয়, সাজাতে গিয়ে কষ্ট করবেন কেন গ্রন্থাগারিক। বই ভালোবাসেন না, বইয়ের উপর মমতা নেই। কিন্তু দু’বছর আগে ইছামতীর তীরের শহর টাকি টাউন লাইব্রেরিতে গিয়েছিলাম। গ্রন্থাগারিক নেই, তবু খুব যত্ন করে রেখেছেন তাঁরা সব বই। পুরাতন পত্রিকা, পুঁথি সাজিয়ে রেখেছেন। ক্যাটালগিং খুবই ভালো। টাকি টাউন লাইব্রেরির বয়স ১৫০ বছর হলো। এই লাইব্রেরিতে গিয়ে আমি মুগ্ধ। মুগ্ধ কলকাতার টেমার লেনে বন্ধুবর সন্দীপ দত্ত প্রতিষ্ঠিত লিটল ম্যাগাজিন লাইব্রেরিতে। নিজের বাড়ির একতলাজুড়ে তিনি এই অভিনব পাঠাগার, সংগ্রহাগার তৈরি করেছেন। কত সাময়িক পত্র আছে যে সেই সংগ্রহে! সবই ছোট সাময়িক পত্রিকা। কয়েকটি হারানো গল্প তাঁর কাছে গিয়ে সংগ্রহ করে এনেছি । লিটল ম্যাগাজিন লাইব্রেরির অনুরূপ লিটল ম্যাগাজিন সংগ্রহাগার এখন জেলায় জেলায় প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। সন্দীপ দত্ত তার পরামর্শদাতা। এই রকম লাইব্রেরি যে কোনো শহরের গর্ব। গবেষকরা নিয়মিত লিটল ম্যাগাজিন লাইব্রেরিতে গিয়ে থাকেন। সাহিত্য সংক্রান্ত অনেক অনুসন্ধানই সেখানে করা যায়। নিজ উদ্যোগে গড়া এই গ্রন্থাগার সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পায় না। সন্দীপ দত্তর উদ্যমী মন আর লিটল ম্যাগাজিনের প্রতি ভালোবাসা একে গড়ে তুলেছে।
বিদেশের লাইব্রেরি:
বিদেশ বলতে বাংলাদেশ, আমেরিকা আর কাজাখস্তান। আমেরিকাতেই লাইব্রেরি দেখেছি দুটি। একটা শহরের পুরসভার তৈরি, অন্যটি আমাদের স্বজন, প্রবাসী বাঙালিদের তৈরি। না হয় দূর পরবাসে আছেন, কিন্তু মায়ের ভাষাটি তো ভোলেননি। বাংলাদেশের মানুষ তো আরো ভোলেননি। তাঁরা নিজেরাই বাংলা বই নিয়ে গ্রন্থাগার গড়ে তুলছেন।
নিউইর্য়ক সিটির কুইনস লাইব্রেরি এক স্বপ্নের গ্রন্থাগার। এদেশেও টেলিভিশন আছে, আন্তর্জাল আছে, সিনেমা থিয়েটার সব আছে কিন্তু গ্রন্থাগার আছে। আছে মানে সসম্মানে আছে। স্ব মহিমায় বিদ্যমান। আমাদের গ্রন্থাগারগুলি ধুঁকছে। পাঠক নেই আর পাঠক আকর্ষণের ব্যবস্থা নেই। আধুনিকতা নেই। মূল্যবান বই ডাঁই হয়ে পড়ে থাকে মেঝেয়। ব্যতিক্রম যে নেই তা নয়, কিন্তু ব্যতিক্রম তো মূল সত্যকে আড়াল করতে পারে না। কুইনস লাইব্রেরি আসলে কুইনস বোরো লাইব্রেরি, এদেশের বৃহত্তম পাবলিক লাইব্রেরিগুলির অন্যতম। বন্ধু লেখক কুলদা রায়ের বাড়ি জামাইকায়, মূল কুইনস লাইব্রেরিও জামাইকায়। তিনিই আমাকে নিয়ে গিয়েছিলেন সেখানে। এই গ্রন্থাগারের ৬২টি শাখা কুইনস বোরোতেই রয়েছে। কল্পনাও করতে পারি না। লাইব্রেরির ৬২টি শাখা। লাইব্রেরির ওয়েবসাইট বলছে সাড়ে সাত লক্ষ তাদের সংগ্রহ। বই আছে, সিডি আছে, রেকর্ড আছে...ইত্যাদি। শিশু বিভাগে তাদের বই আছে, ছবি আঁকার সরঞ্জাম, কম্পিউটার, সিনেমার সিডি সব আছে। কম্পিউটার পুস্তকের প্রতিদ্বন্দ্বী নয় তা কুইনস লাইব্রেরিতে দেখলাম। কুইনস লাইব্রেরির সংগ্রহের ৭.৫ লক্ষের ভিতরে জামাইকার কেন্দ্রীয় কুইনস লাইব্রেরির সংগ্রহে এক লক্ষ ৪০ হাজার। ১৮৫৮ সালে ফ্লাশিং ( কুইনস বোরোর অংশ ) এ কুইনস লাইব্রেরির পত্তন। তারপর এর জয়যাত্রা থামেনি। শাখার সংখ্যা বেড়ে গেছে। জামাইকায় কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার এসে গেছে। যেহেতু নিউ ইয়র্ক বহুভাষিক এক শহর, ইংরেজি ব্যতীত অভিবাসীদের অসংখ্য ভাষা এই শহরে প্রতিদিনই উচ্চারিত হয়, তাই কুইনস লাইব্রেরিতে নানা ভাষার বই দেখতে পাবেন। বিশেষত স্পেনীয়, রুশ, ফরাসী, চিনা এবং কোরীয় ভাষার বইয়ের সংগ্রহ বিপুল। বাংলা ভাষার সংগ্রহ কম নেই। আমাদের সমকালের প্রায় সব লেখকদের গুরুত্বপূর্ণ বই দেখতে পেলাম কুইনস লাইব্রেরিতে। ভারত বাংলাদেশ, দুই দেশের বাংলা বই আছে এখানে। কুইনস লাইব্রেরি না দেখা হলে নিউ ইয়র্কের গৌরবই দেখা হয় না। শুধু বহুতল নয়। গ্রন্থাগারটি এই শহর অনন্য। আমাদের গ্রন্থাগারের কথা মনে পড়ে যাচ্ছিল। মন খারাপ লাগছিল। কুইনস লাইব্রেরির এক শাখায় হয়তো কোনো বিশেষ বই আছে, আপনি অন্য শাখার সভ্য। চাইলে তারা অন্য শাখা থেকে বই এনে দেবে। কম্পিউটারে সার্চ করে দেখে নেবে কোথায় আছে সেই বই। কুইনস লাইব্রেরি কুইনস বোরোতে। ব্রনক্স, ম্যানহাটন, ব্রুকলিন, সব বোরোতে নিজস্ব গ্রন্থাগার আছে। আছে নিউ ইয়র্ক পাবলিক লাইব্রেরি।
আমেরিকা ভ্রমণের সময় আটলান্টা শহরে সেবা লাইব্রেরিতে দেখা হলো রিটন খান, আসফাক স্বপন, হারুন রশিদ, শুভশ্রী নন্দী, রক্তিম সেন, সোমা মুখোপাধ্যায়, রুদ্রশঙ্কর প্রায় জনা তিরিশ মানুষের সঙ্গে। লাইব্রেরিটি গড়ে তুলেছেন এখানের বাঙালিরা। তিন হাজারের মতো বাংলা বই এঁদের সংগ্রহে। সবই নিজেরা সংগ্রহ করেছেন নানা ভাবে। কী ভালবাসা বাংলাভাষার প্রতি। এখানে যাঁরা এসেছেন তাঁরা দুই ভিন্ন রাষ্ট্রের বাসিন্দা। বাংলাদেশ এবং ভারত। এখন অধিকাংশ আমেরিকার নাগরিক। রিটন এবং স্বপন ঢাকার। রুদ্রশঙ্করের বাড়ি ব্যান্ডেলে, শুভশ্রী নন্দী শিলচরে বড় হয়েছেন। আড্ডা হলো অনেক। সাহিত্যের আড্ডা। প্রশ্নোত্তর। কত কৌতুহল তাঁদের। কত প্রশ্ন। প্রশ্ন দেশভাগ নিয়ে। দেশভাগে আমার বেদনা। আমি তো পারটিশনের বিপক্ষে। দেখেছি দেশভাগ নিয়ে আমার মা রাধারানির ক্রন্দন। শোক। সেই সব কথা, আমাদের সাতক্ষীরায় কপোতাক্ষর কথা বললাম তাঁদের জিজ্ঞাসায়। ২০১৬-র নভেম্বরে সাতক্ষীরা যাওয়ার অভিজ্ঞতা বলতে হলো। মাকে নিয়ে পৌঁছে দেওয়া সেই বাঁকা ভবানিপুর গ্রামে। যাওয়াটা সত্য। মায়ের কথাটি কল্পনা। কিন্তু এখন মনে হয় সত্যই। সত্যই যেন মাকে নিয়ে গিয়েছিলাম সমস্ত দিন ধরে। মা চলে গেছেন ২০০৪ সালের ২৪শে জুন। এসব কথা জিজ্ঞেস করেছেন রিটন আর স্বপন, তাঁরা বাংলাদেশের মানুষ। তাঁরা বাংলাদেশের জন্ম দিয়েছেন। তাঁরাই দেশভাগ নিয়ে সব চেয়ে বেশি জিজ্ঞাসা নিয়ে মুখোমুখি। এই আমার সংক্ষিপ্ত লাইব্রেরি ভ্রমণ। জীবনে বহু লাইব্রেরিতে গেছি, চলে এসেছি। কোনো কোনোটা মনে আছে, ভুলে গেছি অনেক গ্রন্থাগারের কথা। একটা কথা সত্য ব্যক্তিগত লাইব্রেরি দান করে যেতে হয়, নাহলে বই নষ্ট হয়ে যায়। আবর্জনা জ্ঞানে ময়লা ফেলার মাঠে ফেলে দিয়ে আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়।