

Discover more from পড়ুয়া
নাহার তৃণার কলাম
বই বা বিদ্যার ক্ষমতাকে ভয পাওয়ার রেওয়াজ বহু পুরোনো। অতীতে হটকারী এবং ক্ষমতালোভী শাসকেরা অন্য রাজ্য আক্রমণের সময় প্রচুর লাইব্রেরি ধ্বংসের প্রমাণ রেখে গেছেন। যা আমরা বই পড়েই জেনেছি।
দুই অক্ষরের শব্দ বই। ছোট্ট শব্দ, অথচ কত না বিষয় ধরে রাখে সে তার ভেতর। বইয়ের হাত ধরে একজন পাঠক কত অজানা বিষয় সম্পর্কে জানতে পারেন। বই যেন ম্যাজিক কার্পেট। যার ছুতোয় পাঠকের ভ্রমণ হয় অজানা দেশ, ইতিহাস, মানুষ ইত্যাদি নানা ভুবনে। একজন পড়ুয়ার সামনে উৎকৃষ্ট মানের একেকটা বই নতুন নতুন জগতের দরজা খুলে দেয়। যে দরজা দিয়ে ঢোকার আগের মানুষ আর পাঠ শেষের মানুষের মধ্যে সামান্য হলেও তৈরি হয় ফারাক।
একথা বলার অপেক্ষা রাখে না, বই মানুষের জীবনে যথেষ্ট ভূমিকা রাখতে সক্ষম। আজকে মানুষের দৈনন্দিন জীবনে বইয়ের বিরাট ভূমিকা থাকলেও একটা সময় ছিল যখন বই খুব সহজলোভ্য বস্তু ছিল না। স্বাভাবিক ভাবে কবে প্রথম ছাপা বই মানুষের নাগালে এসেছিল সে সম্পর্কে জানার কৌতূহল জাগে। ছাপা বইয়ের শুরুটা সম্পর্কে জানার আগে, ‘কান টানলে মাথা’র মতো কাগজ প্রচলনের শুরুটাও এ প্রসঙ্গে এসে যায়।
প্রস্তর যুগে গুহাবাসী মানুষেরা অবসর সময়ে গুহার পাথরে পাথরে তাদের দৈনন্দিন শিকারের দৃশ্য বা নৈমিত্তিক জীবনের যেসব ছবি আঁকতেন সাহিত্যের ইতিহাসে সেগুলোকে মানুষের আদিতম সাহিত্য নিদর্শন হিসেবে মনে করা হয়। প্রস্তর যুগের নানা ধাপে আদিম মানুষেরা কৃষির উদ্ভাবন, পোষ মানিয়ে গৃহপালিত হিসেবে পশুর ব্যবহার এবং ধাতুর ব্যবহার শিখলেও তখন পর্যন্ত লিখন পদ্ধতি আবিষ্কৃত হয়নি।
লিখন পদ্ধতির জন্ম ঠিক কবে থেকে শুরু হয়েছিল সেটা নির্দিষ্ট করে জানা সম্ভব হয়নি। এ নিয়ে বিভিন্ন দেশে নানা কাহিনি প্রচলতি রয়েছে। ধারণা করা হয় খ্রিস্টপূর্ব ৩০৪ এরও কয়েক হাজার বছর আগে ব্যাবিলন এবং আবেসিনিয়া দেশ দুটি খুব সমৃদ্ধ হিসেবে পরিচিত ছিল। ঐতিহাসিক নিদর্শনের ভিত্তিতে ধারণা করা হয় এই দুই দেশে প্রথম বইয়ের সূচনা ঘটেছিল। শুরুতে সেখানে পাথরের উপর লেখার রীতি চালু ছিল। কিন্তু পাথর সহজলভ্য না হওয়ায় কাদা-মাটির উপর লিখে তা আগুনে পুড়িয়ে শক্তপোক্ত করে নেওয়া হতো। বহু বছর পরে প্রত্নতত্ত্ব গবেষণায় মাটি খুঁড়ে ব্যাবিলন থেকে প্রচুর মাটির ফলক পাওয়া যায়। উদ্ধারকৃত ফলকগুলোকে আদি বইয়ের নিদর্শন হিসেবে ধরা হয়।
কাজেই দেখা যাচ্ছে কাগজের বই আসবার আগে আদিতে মাটি, পাথর ইত্যাদির উপর লিখিত মাটির ফলক বই হিসেবে ব্যবহৃত হতো। খ্রিস্টপূর্ব কয়েক হাজার বছর আগে মিশরে প্যাপিরাসের ব্যবহার শুরু হয়। নীলনদের জলাঞ্চলে জন্ম নেওয়া প্যাপিরাস নামের এক ধরনের গাছের সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল। যা খানিকটা আমাদের পরিচিত নলখাগড়া জাতীয় গাছের মতো। মিশরীয়রা প্যাপিরাস গাছের বাকল বা মূল কাণ্ড বিশেষ পদ্ধতিতে কেটে শুকিয়ে তার উপর লেখাজোকা করতো।
কালক্রমে পৃথিবীর নানা দেশে প্যাপিরাসের ব্যবহার শুরু হয়। ইংরেজি ‘পেপার’ শব্দটি এই প্যাপিরাস থেকে আগত।
চীনারা কাগজ তৈরির আগে বাঁশ এবং কাপড়ের উপর লিখন পদ্ধতির ব্যবহারে অভ্যস্ত ছিল। পরে তারা কাগজ আবিষ্কার করে এবং তার প্রস্তুত পদ্ধতি অনেকদিন বাকি পৃথিবীর কাছে গোপন রাখে। তবে এক সময় কাগজ তৈরির গোপন তথ্য আরবরা জেনে যায়। আরবদের কাছ থেকে সেটা প্রথমে ইউরোপ, এবং পরে ক্রমশ বাকি বিশ্ব কাগজ তৈরির কৌশল সম্পর্কে জ্ঞাত হয়। ধারণা করা হয়, ছাপা বইও প্রথম চীনেই প্রকাশিত হয়েছিল। কিন্তু নিজেদের আবিষ্কার কৌশল বাকি পৃথিবীর কাছে গোপনের কারণে কাগজ আবিষ্কারের মতো বইয়ের খবরও আমরা অনেক পরে জানতে পারি।
ইয়োহান গুটেনবার্গ(Johannes Gutenberg)বহনযোগ্য টাইপ প্রিন্টিং আবিষ্কারের পর চৌদ্দশ শতাব্দীর মধ্যভাগে ইউরোপ, বিশেষ করে জার্মানিতে বই ছাপানোর প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে যায়। এতদিন মুখে মুখে ঘুরে বেড়ানো গল্প, উপকথা ইত্যাদি ছাপানো বইয়ের মূল উপজীব্য হিসেবে প্রাধান্য পায়। অন্যদিকে ১০৪০ সালে চীনের বাই(Bi Sheng) শেঙ বহনযোগ্য টাইপ প্রিন্টিংয়ের উদ্ভাবন করেছিলেন। তার কয়েকশো বছর আগে থেকেই অবশ্য চীন, কোরিয়া ও পূর্ব এশিয়াতে কাঠের ব্লকের সাহায্যে ছবি ও লেখা ছাপার প্রযুক্তি চালু হয়ে গিয়েছিল। হাতে লেখা পুঁথির মতো গুটেনবার্গের ছাপানো বইয়ের মুল্য অত চড়া ছিল না। তবে সাধারণের খুব নাগালে ছিল তাও নয়। জার্মানিতে বিপুল সংখ্যক বই ছাপানোর তথ্য ইংল্যান্ডে পৌঁছে যেতে খুব বেশি সময় লাগেনি। উইলিয়াম ক্যাক্সটন নামের এক বৃটিশ ব্যবসায়ী প্রিন্টিং পদ্ধতিটি শেখার কৌতূহল নিয়ে জার্মানি যান। পদ্ধতিটি শিখে স্বদেশ ফিরে ক্যাক্সটন বই ছাপানোর পদক্ষেপ নেন। ছাপা বইয়ের ইতিহাসে ১৪৫৫ সালে ইয়োহান গুটেনবার্গ প্রকাশিত গুটেনবার্গ বাইবেল পৃথিবীর প্রথম ছাপানো বইয়ের মর্যাদা লাভ করে। আর মাটির ফলকে রচিত প্রথম বই বা সাহিত্য হলো ‘গিলগামেশ।’
বই মুদ্রণ বিষয়ক ইতিহাসের এ পর্যায়ে বাংলা ভাষায় প্রকাশিত বা মুদ্রিত প্রথম বই সম্পর্কে একধরনের কৌতূহল উঁকি দেওয়া খুব স্বাভাবিক। আশ্চর্য লাগলেও সত্যি, বাংলা ভাষার প্রথম বই এই উপমহাদেশে প্রকাশিত হয়নি। হয়েছিল উপমহাদেশের বাইরে। এর প্রমাণ হিসেবে প্রথম যে তথ্যটা পাওয়া যায় সেটা হলো: ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে প্রথম বাংলা ভাষায় বই প্রকাশিত হয়েছিল। সালটা ১৬৮২ খ্রিস্টাব্দ। তবে সে বইয়ের ছেঁড়া কয়েকটা পৃষ্ঠা ছাড়া গোটা বইয়ের সন্ধান পাওয়া যায়নি। দ্বিতীয় আরেকটা এমন তথ্য পাওয়া যায় যে, ১৭২৫ খ্রিস্টাব্দে জার্মানিতেও বাংলা ভাষায় ছাপানো একটি বইয়ের হদিশ পাওয়া যায়। যেটির ভাগ্যেও একই পরিণতি জোটে। অর্থাৎ কয়েকটি পাতা বাদে গোটা বই অনাবিষ্কৃতই থেকে যায়। তবে এই তথ্য দুটোর ঐতিহাসিক কোনো ভিত্তি নেই। সে হিসাবে বাংলায় প্রকাশিত প্রথম বইয়ের ঐতিহাসিক যে তথ্যটা পাওয়া যায় সেটাকেই গ্রহণযোগ্য বলে ধরা বুদ্ধিমানের হবে। এই তথ্য মতে, ১৭৩৫ সালে লিখিত এবং ১৭৪৩ সালে পর্তুগালের রাজধানী লিসবনে প্রকাশিত ‘কৃপার শাস্ত্রের অর্থ ভেদ, শিষ্য গুরুর বিচার(Crepar Xaxtrer Orth, Bhed, Xixio Gugur Bichar)’ (সম্পূর্ণ) বইটিকে প্রথম সম্পূর্ণ প্রকাশিত বই হিসেবে ধরা যায়। এর লেখক একজন মিশনারী, নাম মনোএল দ্য আসসুম্পসাউ(Manuel da Assumpcao)। তবে বইটি বাংলা হরফে নয় রোমান হরফে ছাপা হয়েছিল। বইয়ের পৃষ্ঠা সংখ্যা ছিল ৩৯১। পরে বইটিকে ফরাসি মিশনারী ফাদার গেঁরে পরিমার্জনা করে পুনর্মুদ্রণ করেন। বইটির বাংলা অনুবাদ কে করেছিলেন সেটা অজ্ঞাত। অনুবাদিত বইটিতে তৎকালীন ঢাকার ভাওয়াল পরগনার কথ্য ভাষা ব্যবহৃত হয়েছে।
মানব সভ্যতার আদিপর্ব পেরিয়ে সভ্য ভুবনে পা রাখার পর ধরে নেওয়া হয়েছিল, মানুষ হয়ত তার আদিম প্রবৃত্তি ত্যাগ করবে। আচার-আচরণে আরো সভ্য আর সংযত হয়ে উঠবে। কিন্তু বাস্তব ক্ষেত্রে তেমনটা ঘটতে দেখা যায়নি। অন্তত সময়ের শিলালিপিতে খোদিত মানুষের ইতিহাস তা বলেনা। প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্টির পাশাপাশি ধ্বংসকে মেনে নিতে হয়। কারণ মানুষের পক্ষে প্রাকৃতিক সব বিপর্যয়ের মোকাবেলা সম্ভব হয় না। সে যতই জ্ঞান-বিজ্ঞান প্রযুক্তিগতভাবে এগিয়ে থাকুক। প্রকৃতির বিচিত্র খেয়ালের কাছে মানুষ আজও অসহায়। সেক্ষেত্রে, প্রাকৃতিক ধ্বংসের জন্য মানুষকে দায়ী করা প্রশ্ন সাপেক্ষ। কিন্তু এমন কিছু সৃষ্টি বা আবিষ্কার আছে, যার পেছনে বহুশত মানুষের অক্লান্ত পরিশ্রমের ঘাম, দিন-রাত্রির নিদ্রাহীন সময়ের বিনিয়োগ মিশে থাকে। যে সৃষ্টি বা আবিষ্কারের পেছনে মানুষই থাকে একক স্রষ্টার ভূমিকায়। সেই সৃষ্টি ধ্বংসে স্বয়ং মানুষই যখন ওঠে-পড়ে নেমে যায়, সে বড় পীড়াদায়ক।
সভ্য হওয়ার দীর্ঘ এবং নানাবিধ পথপরিক্রমায় যে মানুষ লিখন পদ্ধতি আবিষ্কার করেছিল। বই প্রকাশের কল-কব্জা জানতে সময় ব্যয় করেছিল। সেই মানুষের হাতে পৃথিবীর নানা প্রান্তে কত শত হাজার অমূল্য সম্পদ বই, যে ধ্বংস হয়েছে তার সঠিক পরিসংখ্যান আমাদের অজানাই থেকে যাবে। জ্ঞান-বিজ্ঞানে এগিয়ে থাকার জন্যেও বই একটা শক্তিশালী মাধ্যম। বই পড়ে মানুষ সত্যের কাছাকাছি পৌঁছাতে সক্ষম। কোনটা ভুল, কোনটা ঠিক, সে সিদ্ধান্তে নেওয়ার ক্ষমতা দেয় বই। সেই বইও তাই কখনও কখনও বিশেষ শ্রেণির বিপক্ষে দাঁড়ায়। শত্রু হিসেবে চিহ্নুিত হয়। কারণ বই মানুষকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রেরণা দিতে জানে। যারা অন্যায় ভাবে ক্ষমতা ধরে রাখা বা ক্ষমতা কেড়ে নেওয়ার পক্ষে, তাদের জন্য সেটা মোটেও সুখকর নয়। তখন বই সেই শ্রেণির কাছে ‘শত্রু’হিসেবে দেখা দেয়।
বই বা বিদ্যার ক্ষমতাকে ভয পাওয়ার রেওয়াজ বহু পুরোনো। অতীতে হটকারী এবং ক্ষমতালোভী শাসকেরা অন্য রাজ্য আক্রমণের সময় প্রচুর লাইব্রেরি ধ্বংসের প্রমাণ রেখে গেছেন। যা আমরা বই পড়েই জেনেছি। মিশরের আলেকজান্দ্রিয়ার লাইব্রেরি ছিল সে সময়ের সবচেয়ে বড় এবং গুরুত্বপূর্ণ লাইব্রেরিগুলোর একটি। এটি ছিল মিশরের ক্ষমতা আর ঐশ্বর্যের প্রতীক। বহু বিখ্যাত দার্শনিক, জ্ঞানী গুণীজন এখানে পড়াশোনা করেছিলেন। বিশ্বের বিভিন্ন জায়গা থেকে বই সংগ্রহ করে তা অনুবাদ করে প্যাপিরাসে লিখে তারপর গুটিয়ে(স্ক্রোল) সেগুলো সংরক্ষণ করা হতো। বিপুল অর্থের বিনিময়ে অন্য রাজ্য থেকে বই ধার এনেও কপি করে রাখা হতো। ধারণা করা হয় লাইব্রেরিটিতে প্যাপিরাসে মোড়ানো বিশেষভাবে সংরক্ষিত বইয়ের সংখ্যা ছিল প্রায় ৬০০০০০। বিপুল ঐশ্বর্যময় এই লাইব্রেরিটি ক্ষমতার দ্বন্দ্ব, ধর্মীও রেষারেষির কারণে পুড়িয়া ফেলা হয়। এমন নিষ্ঠুরতা মানুষ হত্যার পাশাপাশি কম মর্মান্তিক নয়। দু-দুটো বিশ্বযুদ্ধে হিটলার বাহিনীর থাবাতেও পৃথিবী থেকে হারিয়ে গেছে বহুমূল্যবান বই, দলিল দস্তাবেজ। যুদ্ধের নামে দেশে দেশে খুন হয়েছে মানবতা, ধ্বংস হয়েছে নগরী; একই সাথে ধ্বংস হয়েছে অমূল্য সম্পদের ভাণ্ডার গ্রন্থাগার। আজও ক্ষমতার নামে যত যুদ্ধ বা সন্ত্রাস ঘটে মানুষের পাশাপাশি কত বই ধ্বংস হয় তার সঠিক হিসাব কখনও জানা সম্ভব হবে না।
ক্ষমতা-প্রতিপত্তি চিরদিন থাকে না। কিন্তু বই সংরক্ষণ করা গেলে যুগের পর যুগ থেকে যায়। বই যাঁরা ভালোবাসেন তাঁরা প্রকৃত পড়ুয়া এবং বিদ্বান। জ্ঞান ছাড়া বিদ্বান হওয়া সম্ভব না। আর সে জ্ঞান অর্জনের জন্য বই ছাড়া গতান্তর নেই। বিদ্বান এবং বই একে অন্যের পরিপূরক। ক্ষমতাবান মানুষ ক্ষমতার দাপটে মানুষের মনে ভীতির বীজ বুনে দিতে পারলেও সত্যিকার সম্মান পান না। কিন্তু বিদ্বান মানুষের ক্ষমতা কিংবা বিত্ত না থাকলেও তিনি শ্রদ্ধার মানুষ। আজকের চাকচিক্য সর্বস্ব সময়টাতে দাঁড়িয়ে কথাগুলো হয়ত হাস্যকর মনে হবে অনেকের কাছে। কিন্তু দিন শেষে পাণ্ডুলিপির আয়োজনই সত্যি।
চাণক্যের নীতিশাস্ত্রের একটি শ্লোক মনে পড়লো- ‘স্বদেশে পূজ্যতে রাজা, বিদ্বান সর্বত্র পূজ্যতে।’ অর্থাৎ রাজা কেবলমাত্র নিজের রাজ্যে বা ক্ষমতার বৃত্তেই সম্মান পেয়ে থাকেন, কিন্তু একজন বিদ্বান মানুষ পৃথিবীর সব জায়গাতে সম্মানের পাত্র। বিদ্বান কে? যিনি জ্ঞান সাধনা করেন। যিনি পড়ুয়া। যিনি জ্ঞানে-বুদ্ধিতে, জ্ঞানহীন পড়া বিমুখের চেয়ে এগিয়ে থাকেন। পাঠ যাঁর জন্য সাধনার জগতে নিজস্ব মন্ত্র।
বই পারে একজন সাধারণ মানুষকে অসাধারণ হয়ে গড়ে ওঠার স্বপ্ন দেখাতে।