পড়ুয়া কি ও কেন?
একাকী লেখকের নহে তো বই, পড়িতে হইবে দুইজনে। রবীন্দ্রনাথ ইচ্ছে করলে এমন একটা কথা বলতেই পারতেন। কিন্তু বলেন নি। বরং পাঠক তার লেখাজোকার খবর রেখেছেন কিনা, বহুবছর পরেও তাঁকে মনে রেখেছেন কিনা সেটা নিয়ে কৌতূহলী প্রশ্ন রেখেছেন- “আজি হতে শতবর্ষ পরে, কে তুমি পড়িছ বসি আমার কবিতাখানি, কৌতূহলভরে--. আজি হতে শতবর্ষ পরে।” লেখক যাই লেখেন না কেন, সেখান থেকে কতটা রস আস্বাদন করবেন সেটি পাঠকের উপর নির্ভরশীল। এক্ষেত্রে পাঠকের স্বাধীনতা অনেক। ধীরে ধীরে একজন ভালো পাঠক হয়ে উঠতে হয়। কাঙ্ক্ষিত বই সংগ্রহের পেছনে কত কত গল্প জমা থাকে একেক জন পাঠকের। তার খবর লেখক কিংবা প্রকাশকের অজানাই থেকে যায়। পাঠকের সুখ দুঃখের কথা লেখক প্রকাশকেরও জানা প্রয়োজন। একটি ভালো বইয়ের পাঠপ্রতিক্রিয়ার মতো- বই সংগ্রহের গল্পগুলো, বই নিয়ে পাঠকের আনন্দ-বেদনার স্মৃতিগুলো প্রকাশের তেমন সুযোগ থাকে না। পাঠকের বলা না হয়ে ওঠা সেইসব কথাগুলো প্রকাশের ভাবনা থেকে আমরা শুরু করছি পাঠকের জন্য "পড়ুয়া"। এটি বছরে চারবার প্রকাশিত হবে। পাঠকদের অভিজ্ঞতায় পরিপূর্ণ থাকবে সংকলনটি। ছাপার পাশাপাশি এটি পাওয়া যাবে আন্তর্জাতিক সকল ইবইয়ের দোকানে। পাঠক আপনি যেখানেই থাকুন, আমরা আপনার পাশেই আছি। এই সংকলন প্রকাশের মধ্য দিয়ে লেখক ও পাঠকের মধ্যেকার দূরত্ব কমিয়ে আনাই আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য। পাঠক, আপনাদের শুভকামনা নিয়ে "পড়ুয়া"র যাত্রা শুরু হলো।
পড়ুয়ার আয়োজন যতটা না বই নিয়ে (যদিও আমরা বইপত্রকে প্রাণ দিয়ে ভালোবাসি) তার চেয়ে বেশি যাঁরা বই পড়তে ভালোবাসেন তাঁদের নিয়ে। অস্বীকারের উপায় নেই আমাদের গড়ে ওঠার পেছনে বইয়ের একটা বড় ভূমিকা রয়েছে।
‘পড়ুয়া’ যে কোন বয়সী এবং যে কোন পাঠকের বই পড়ার অভিজ্ঞতা বিষয়ক পত্রিকা। এর প্রধান উদ্দেশ্য বইপড়ার মধ্যে যে গূঢ় কলাকৌশল আছে সেটা আবিষ্কার করা, আমরা কেন বই পড়ি, পড়া আমাদের কীভাবে প্রভাবিত করে, বই পড়ার অনুভূতি বা প্রতিক্রিয়া কী, কীভাবে আমরা বইয়ের মাধ্যমে শব্দের খেলা খেলি এবং তার মাধ্যমে বইয়ের সাথে যুক্ত হই ইত্যাদি।
আমরা আপনাদের কাছ থেকে বই কেন্দ্রিক আলোড়িত হওয়ার মতো গল্প, বইয়ের ব্যাপারে গভীর কোন পর্যবেক্ষণ, মনোমুগ্ধকর সাক্ষাৎকার এবং নানারকম শব্দশৈলির উপস্থাপনা আশা করছি। ‘পড়ুয়া’ বছরে চারটি সংখ্যা প্রকাশ করবে, অনলাইনে এবং কাগজে। সুতরাং আপনি সুবিধামতন পড়ে নিতে পারবেন।
লেখা পাঠানোর ঠিকানাঃ editor@porua.net
সম্পাদক
নাহার তৃণা
রিটন খান
![সম্পাদক](https://substackcdn.com/image/fetch/w_720,c_limit,f_auto,q_auto:good,fl_progressive:steep/https%3A%2F%2Fsubstack-post-media.s3.amazonaws.com%2Fpublic%2Fimages%2Fb4749788-ad38-455a-85f4-605730fc9ed3_320x320.png)
![সম্পাদক](https://substackcdn.com/image/fetch/w_720,c_limit,f_auto,q_auto:good,fl_progressive:steep/https%3A%2F%2Fsubstack-post-media.s3.amazonaws.com%2Fpublic%2Fimages%2F93550664-603e-44cc-a597-f3ff888e6cf4_320x320.png)
নাহার তৃণা। জন্ম ২ আগস্ট ঢাকা শহরে। বর্তমানে উত্তর আমেরিকায় বসবাস। ২০০৮ সালে লেখালেখির জগতে প্রবেশ। কমিউনিটি ব্লগ এবং লেখক ফোরামের পাশাপাশি গত কয়েক বছর ধরে লিখতে শুরু করেছেন দুই বাংলার বিভিন্ন সাহিত্যপত্রিকা এবং ওয়েবজিনে। নিয়মিত লিখে যাচ্ছেন প্রবন্ধ, গল্প, অনুবাদ, সাহিত্য সমালোচনা। সম্প্রতি ফেসবুক কেন্দ্রিক বইপ্রিয় গ্রুপ বইয়ের হাট থেকে ইবুক আকারে প্রকাশিত হয়েছে তাঁর শিশুতোষ অনুবাদ গ্রন্থ ‘একডজন ভিনদেশি গপ্পো-১ম খণ্ড’। গল্পপাঠের সম্পাদকমণ্ডলীর পাশাপাশি উনি পড়ুয়া সম্পাদনা করছেন।
রিটন খান একজন পাঠক, সম্পাদক এবং লেখক। তিনি কম্পিউটার সায়েন্স এর পাশাপাশি বই অনুসন্ধান এবং পাবলিক লাইব্রেরির জন্য কৌশলগত পরিকল্পনা নিয়ে উচ্চতর শিক্ষা অর্জন করেছেন। তাঁর পেশাগত কাজ যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাকে আরও সামঞ্জস্যপূর্ণ করা। বাকি সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কন্টেন্ট তৈরি করেন এবং বই, প্রযুক্তি, স্বাস্থ্যসেবা, উৎপাদনশীলতা এবং উদ্যোক্তাত্ব সম্পর্কে প্রবন্ধ লেখার কাজ করেন।
![](https://substackcdn.com/image/fetch/w_88,c_limit,f_auto,q_auto:good,fl_progressive:steep/https%3A%2F%2Fsubstack-post-media.s3.amazonaws.com%2Fpublic%2Fimages%2F137de19e-7880-4412-9de6-45ed9530b68b_1000x1000.png)